ঢাকা: মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। র্যাব বলছে, এটা প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত খুন হতে পারে। তবে ফারুকীর ছেলে বলছে, বাধা দেয়ায় ডাকাতদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। তবে বাসার কী কী জিনিস খোয়া গেছে তা তিনি বলতে পারেননি।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৭৪ পূর্ব রাজাবাজার মুন্সীবাড়ীর একটি চার তলা ভবনের দুই তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মাওলানা ফারুকী। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হজে যাওয়ার কথা বলে দুই জন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এরপর ১৫/২০ মিনিট পর আরো তিনজন ভক্ত পরিচয় দিয়ে বাসায় আসেন। কিছুক্ষণ পর এরা অস্ত্রের মুখে স্ত্রী-সন্তানদের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের একটা কক্ষে আটকে রেখে ডাইনিং রুমে ফরুকীকে কলাকেটে হত্যা করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জিয়াইল হক বাংলামেইলকে জানান, এই মার্ডারের সঙ্গে গোপীবাগের সিক্স মার্ডারের মিল রয়েছে।
তুষার নামে একজন ভক্ত দাবি করেন, এর আগেও তার ওপর একাধিকবার হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি মিলাদ ও মাজারের পক্ষে কথা বলতেন। একারণেই বিপক্ষে অবস্থানকারী গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে মাওলানা ফারুকীর বড় ছেলে রাজ জানান, এটা একটি ডাকাতির ঘটনা। বাধা দেয়ায় ডাকাতরা তার বাবাকে হত্যা করেছে। তবে ঘর থেকে কী কী মালামাল লুট হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে মাওলানা ফারুকীর খুনের সংবাদ পাওয়ার শত শত সমর্থক তার বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছে বিক্ষোভ করছে। তারা খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছে। ফার্মগেটেও ভক্তরা বিক্ষোভ করায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফারুকীর দুই স্ত্রীর মধ্যে বড় স্ত্রী থাকেন মালীবাগে। এ ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে তার। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রাজাবাজারে থাকতেন তিনি।
আরো জানা যায়, মাওলানা ফারুকী ইসলামী মিডিয়া জনকল্যাণ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদের সেক্রেটারিও ছিলেন তিনি। এছাড়া মেঘনা ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।