ফেলানি হত্যার রায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের যে মানবাধিকার সংগঠন সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে সরব – সেই মাসুম .. সংগঠনটির প্রধান কিরিটী রায় বলেছেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কি রায় দেওয়া হবে। এটা লোক দেখানো বিচার হল।
তাঁরা পরবর্তী কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, সেটা এখনই সিদ্ধান্ত নেননি। তবে চিন্তাভাবনা করবেন নিশ্চয়।
আর দ্বিতীয় যে প্রতিক্রিয়াটি ব্যক্ত করেছেন, সেটা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেলানি হত্যার এই মামলা যিনি দেখাশোনা করছেন, কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসেকিউটর আব্রাহাম লিঙ্কনের কাছ থেকে।
তিনি বলছেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, যে বিচারকেরা প্রথম মামলাটা শুনেছেন, তারাই আবার পুনর্বিবেচনা করছেন। এক্ষেত্রে যদি তাঁরা অন্য কোনও রায় দিতেন, তাহলে তাঁদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত – আগের রায়ে তাহলে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণিত হত।
তাই আগের রায়ই তাঁরা বহাল রাখলেন।
এছাড়াও লিঙ্কন বলছেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীটাই নিয়ে নিল আর সেই দায় রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ওপরেও বর্তালো।