অর্থের বিনিময়ে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তার এই লাভজনক পদে থাকাটা সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদ পরিপন্থি। এ খবর পুরনো। গত ২৫ মার্চ এ নিয়ে পরিবর্তন ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তবে সেদিকে মন্ত্রী বা ফোরথট পিআরের ভ্রুক্ষেপ নেই।
সংবাদ প্রকাশ ও বিতর্ক শুরুর ৫ দিনেও ফোরথট তাদের ওয়েবসাইট থেকে মন্ত্রীর নাম-পদবী সরায়নি। সংস্কৃতিমন্ত্রীও কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এরই মধ্যে দিবার্তা.কম এর পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান নূর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দেশ টিভিতেও এখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে রয়েছেন। টিভির ওয়েবসাইটেও সেই তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে দেশ টিভির কার্যালয়ে ফোন করা হলে তাদের ব্যবহৃত তিনটি নম্বরের কোনোটির কল কেউ রিসিভ করেননি।
সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে থাকা সংবিধানের পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, “এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোন লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হইবেন না কিংবা মুনাফালাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোন কোম্পানী, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনরূপ অংশগ্রহণ করিবেন না।”
আর ওই অনুচ্ছেদেরই (৪) ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, নির্বাচন কমিশনার ও সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।”