রত্নার অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন আদর্শবাগ এলাকার নিজ বাড়িতে স্বামী রেজাউল করিম (২৬) তাঁকে বেদম মারধর করেন এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন।শিবালয়ের উথলী ইউনিয়নের রানীনগর এলাকার বাসিন্দা রত্নার সঙ্গে পাঁচ বছর আগে দৌলতপুর উপজেলার চকহরিচরণ এলাকার রেজাউল করিম তাঁরার (২৬) বিয়ে হয়। রেজাউল অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের ছেলে।শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে রত্না ঢাকার আদর্শবাগ এলাকার বাড়িতে থাকেন।চিকিৎসাধীন অবস্থায় রত্না জানান, পাঁচ বছর আগে বিয়ের পর থেকেই তিনি লক্ষ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনো কাজ করে না। বেকার ঘুরে আর তাঁর (রত্না) বাবার আয়-রোজগারে চালান পুরো সংসার। বছর খানেক আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ব্যবসা করার জন্য তাঁকে (রত্না) বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলে। এই যৌতুক না পেয়ে মাঝেমধ্যে তাঁকে মারধর করত তারা।রত্না জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তাঁকে লোহার সরু পাইপ দিয়ে মারধর করে তারা। আজ বুধবার ভোরে একইভাবে আরেক দফায় মারধর করে তাঁর গলা চেপে ধরেন স্বামী রেজাউল। এ সময় ছেলে রেদোয়ান রেজাউলকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করে। প্রাণ বাঁচাতে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। এরপর স্বজনরা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁকে ভর্তি করেন।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বজলুর রশিদ জানান, রত্না মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়গুলো দেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
রত্নার বাবা সিদ্দিকুর রহমান জানান, যৌতুকের কারণে দীর্ঘদিন ধরে রত্না নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এখন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে জীবন-মরণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলে সিদ্দিকুর রহমান জানান।
উথলী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানান, রত্না একটু সুস্থ হোক। তাঁর সঙ্গে কথা বলে ও স্বজনদের নিয়ে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।[ads2]