সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কোন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে কোন দেশ বা সংগঠন যাতে আর্থিক সহযোগিতা না করে সে ব্যাপারেও সরকার বদ্ধপরিকর। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমন ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে মুসলিম দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ বিরোধী কেন্দ্রে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। এসব উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২; পারস্পরিক সহায়তা আইন ২০১২ সহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেকোন শুভ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সচেষ্ট থাকবে।
সেলিনা বেগমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনে শক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তকে শান্তির সীমান্তে পরিণত করা পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম লক্ষ্য।