চিরচেনা ঢাকার সঙ্গে রোববারের দিনটির অনেক অমিল। রাস্তায় ব্যস্ত মানুষ নেই, নেই অফিসের তাড়া, বাস-গাড়ি-যানজট তেমন চোখেই পড়লো না! দোকান-পাট, মার্কেট-মল সব বন্ধ।
এমনটি বছরে দুই ঈদের সময় দেখা মেলে। সরকারি ছুটির দিনেও ঢাকার রোজকার ব্যস্ততা কমে না। কিন্তু এদিনটি একটু ব্যতিক্রম। একে তো মে দিবস (০১ মে), এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আগের দু’দিন শুক্র-শনি সরকারি ছুটি।
কিন্তু তাই বলে রাজপথের উত্তাপ কমেনি। মহান মে দিবস হলো শ্রমিকের দিন, দাবি আদায়ের দিন। শ্রম আইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সংগঠন শ্রমিকবান্ধব দাবি নিয়ে পথে নেমেছে। পূর্বঘোষিত মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ তো থাকছেই। কিন্তু জীবনানন্দের বিখ্যাত সেই কবিতার লাইন, ‘সব পাখি ঘরে আসে-সব নদী’র মতো মিলিয়ে বললে- সব মিছিল পল্টনে আসে। যেনো আসতেই হয়! তা সে সদরঘাট বা সোয়ারী ঘাট- যে প্রান্ত থেকেই মিছিল নামুক, পল্টন একবার ঘুরে যেতেই হবে! এ যেনো অলিখিত কোনো নিয়ম। কোনো দাবি-দাওয়া, আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিল নেমেছে কিন্তু সেটি পল্টন ঘুরে না গেলে যেনো পূর্ণতা পায় না!
এদিন শ্রমিকদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, টেক্সটাইল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, ডিপিডিসি শ্রমিক লীগ, ভার্চুয়াল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক লীগ, সোয়ারী ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সব সংগঠনগুলোই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বের হলেও কর্মসূচির বড় একটি অংশ তারা রেখেছে পল্টনে। বেশ কয়েকটি সংগঠন পল্টন মোড়, মুক্তি ভবনের সামনেসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে।