ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে নিহতদের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়েছে। সেখানেই সব লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।[ads1]
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিহত ২০ বিদেশিসহ ২৬ জনের মৃতদেহ ১৩টি অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে বেলা দেড়টায় সংবাদ সম্মেলনে মৃতদেহগুলো সিএমএইচে আনা হবে বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আসফাক চৌধুরী।
তিনি বলেন, নিহত সবাইকে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হবে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কারো যদি কোনো জিজ্ঞাসু থাকে তাহলে ০১৭৬৯০১২৫২৪ নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
সেনাকমান্ডোর নেতৃত্বে শনিবার সকালে ১২-১৩ মিনিটের যৌথ অভিযানের (অপারেশন থান্ডার বোল্ট) মাধ্যমে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটে। অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ সন্ত্রাসী। [ads2]
যৌথ বাহিনীর অভিযানে রেস্টুরেন্ট থেকে ২০ জন বিদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রাতেই হাসপাতালে মারা গেছেন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলাম।
অভিযানে একজন জাপানি, দুই শ্রীলঙ্কানসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত। তাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং এসি রবিউল।[ads2]