সাতক্ষীরার পর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছোট বলদিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তের ৮৩ নম্বর মেইন পিলারের ৩ এস এর নিকট বিএসএফের গুলিতে মুনতাজ হোসেন (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি মহিষ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে নিহত মুনতাজ হোসেন উপজেলার পারকৃষ্টপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে উপজেলার পারকৃষ্টপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া সীমান্তে মুনতাজসহ ৪-৫ জন ভারতে মহিষ আনতে যায়। এ সময় সীমান্তের ৮৩ নম্বর মেইন পিলারের ৩ এস এর নিকট ভারতীয় অংশে নদীয়া জেলার ৫৪ ব্যাটালিয়নের বিজয়পুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ করে ৬-৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও মুনতাজ হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় একটি মহিষ ও গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা লাশ ও একটি মহিষ উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
নিহতের বিষয়টি পারকৃষ্টপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে শুনেছি। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের কালিয়ানী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের বসিরহাট মহকুমায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পরিবার। রোববার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে কালিয়ানী ক্যাম্পের বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে এ গুলির ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম হাছানুর রহমান (৪০)।তিনি কুশখালি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। হাছানুরের পেটের ডান দিকে গুলি লেগেছিল বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম।
কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা ভোর সাড়ে ৬টার দিকে হাছানুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হাসানুর এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরা ৩৩, বিজিবি বৈকারি ক্যাম্পের সুবেদার আবু তাহের জানান, আমরা জানতে পেরেছি হাছানুর একজন মাদক চোরাকারবারি। তিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের গুলিতে আহত হন। তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বিজিবির পক্ষ থেকে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Jugantor