নয় মাসের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের আদালত থেকে আবারও নথি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার সহকারী জজ আদালতের (কামারখন্দ) সেরেস্তায় দেওয়ানি মামলার বেশ কিছু নথি চুরি হয়ে গেছে। তবে চুরি যাওয়া নথির সংখ্যা জানা যায়নি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তা কক্ষ খুললে মেঝেতে বেশ কিছু নথি এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখেন কর্মচারীরা। এ সময় তারা দেখেন আলমিরাতে রাখা মামলার নথিগুলো নেই। ওই কক্ষের জানালার লোহার পাতিও ভাঙা দেখেন তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওইদিনই জজ আদালতের নাজির ওসমান গণি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে চলতি বছরের ২০ ও ২১ মার্চ পর পর দু’রাতে সিরাজগঞ্জ পুরাতন কালেক্টরেট ভবনে ভিপি (ভেস্টেট প্রোপার্টি-অর্পিত সম্পত্তি) কৌঁসুলিদের কক্ষের তালা ভেঙে কয়েকটি আলমিরাতে রাখা অন্তত ৬০০ মামলার কোর্ট ফাইল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও বেশ কিছু পুরাতন ডায়েরিও গায়েব হয়ে যায়। এরপর ২২ মার্চ দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবারও চুরির চেষ্টা করা হয়। এসব ঘটনার তদন্তে ২২ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।
এ ব্যাপারে উক্ত আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ৬০০ নথি চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার না করে ওই মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, নথি চুরির ঘটনায় জেলা জজ আদালতের নাজির বাদি হয়ে সদর থানায় একটা মামলা দায়ের করছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার কোনো ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুতই জড়িতদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
সারাবাংলা