সুন্দরবন রক্ষায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ পুরোপুরি সচলে সিভিল প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই সুন্দরবন রক্ষায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন জরুরি হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে রাজনীতিবিদসহ সামাজিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ১৯ মাসে এক কোটি ১৫ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন ও পলি অপসারণ করেও মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি পুরোপুরি সচল করতে পারেনি। কারণ, এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি সেখানকার খালগুলোর মুখে অবৈধ বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘ ২০ মাসেও এসব বাঁধ ও চিংড়ি ঘের উচ্ছেদ করতে পারেননি। এছাড়া আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও পাউবোর গত সাত মাসেও তাদের অপরিকল্পিত ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণ করেনি। এসব কারণে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে দ্রুত পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্যালা নদীর ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর) আয়োজিত এই সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাসনিম রানা, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ। মানবন্ধন ও সমাবেশ পরিচালনা করেন জাতীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত।