ঢাকা: প্রতিমাসে নামমাত্র খরচে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় সৌদি আরব থেকে আসা উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
এর আগে সকাল ৯টায় ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে সৌদি প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কর্মীদের বেতন ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়ালের মধ্যে হবে। ১২০০ রিয়ালের কম হলে কর্মী পাঠাবো না।’
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে দুই পক্ষই একটা বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। তা হচ্ছে, যে করেই হোক অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্মীদের সৌদি আরবে যেতে সব ধরনের খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দেবে। এ ব্যাপারে প্রতিনিধিদলও একমত হয়েছে।’
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছে। যেখানে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। কীভাবে কোন পদ্ধতিতে কর্মীরা যাবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কী হবে, কী পরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন তা নিয়ে আলোচনা হবে।
সৌদি সরকারের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল রবিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সফরে আসে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আলফাহিদ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সৌদি আরবে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের (পুরুষ ও নারী) নাম নিবন্ধনের জন্য সোমবার থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলার আয়োজন করেছে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। মেলা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
মেলায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৬০ নম্বর প্যাভিলিয়নে ২০০ টাকায় নাম নিবন্ধন করা যাবে। এ ছাড়া রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবন এবং দেশের সব জেলার কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পক্ষে জাতীয় দৈনিক এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি আরব।
দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকার পর ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করে সৌদি সরকার।