শাহজাহান সিরাজের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটলেও আজও প্রকৃত অর্থে দেশে যথার্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ শাহজাহান সিরাজের ৩৮তম মৃত্যু দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সালেহ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদ ও শোষণ-বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের সমর্থনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাসদ ছাত্রলীগের নেতা শাহজাহান সিরাজ স্বৈরাচার পেটোয়া বাহিনী বিডিআরের বুলেটে প্রাণ হারান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হলেন: নাজমুল হক প্রধান, মোস্তফা ফারুক, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আখতার সোবহান মাশরুর, আমিনুল ইসলাম, মনসুরুল হাই সোহন, সুজাউদ্দিন জাফর, মুখলেছউদ্দিন শাহীন, সিরাজুম মূনীর, রেজাউল করিম শিল্পী, রাজু আহমেদ, সালেহ আহমেদ, সরদার ফারুক, রাগিব আহসান মুন্না, রুহিন হোসেন প্রিন্স, হারুন মাহমুদ, জায়েদ ইকবাল খান, কামাল হোসেন বাদল, বদরুল আলম।
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শাহজাহান সিরাজকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে শত শহীদের তালিকায় এক মৃত্যুহীন নাম শহীদ শাহজাহান সিরাজ। আজ থেকে ৩২ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া অকুতোভয় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজকে স্মরণ করি বিনম্র শ্রদ্ধায়। ২২ ডিসেম্বর শাহজাহান সিরাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছর এই দিনটিকে স্মরণ করে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা। ’৮২ থেকে ’৯০ এর আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এই দিনটিকে পালনের জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।