সেতুর পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারের জন্যও টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সারা দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য টোল আদায়ের নিয়ম করেছে সরকার। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত টোল নীতিমালা ২০১৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, তিন বছর পর পর টোল সংশোধন করা হবে। ও/এম (অপারেশন ম্যানেজমেন্ট), ইজারা ও বিভাগীয়ভাবে এই টোল আদায় করা হবে। তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলার সড়ক ব্যবহারের জন্য ১৩ ক্যাটাগরির যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে এই টোল শুরু হবে। এই টোলের পরিমাণ সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। বড় বাস-ট্রাকের পাশাপাশি সাইকেল ব্যবহারের জন্যও টোল দিতে হবে। টোল থেকে পাওয়া টাকা জমা হবে সড়ক উন্নয়ন তহবিলে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এটা হচ্ছে সার্ভিস। সার্ভিসের জন্য টোল দিতেই হবে। পর্যায়ক্রমে সড়কগুলো টোলের আওতায় আনা হবে। টোলের অর্থ ব্যবহার হবে সড়কের উন্নয়নের জন্য।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, ২০০-৫০০-৭০০-১০০০ মিটার সেতুর জন্য আলাদা করে টোল নির্ধারণ করা হবে। ১৩ ধরনের যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ যানবাহনের জন্য যদি ৪০০ টাকা টোল হয়, তবে ভারী ট্রাকের জন্য তা ২০০ শতাংশ বেশি অর্থাত্ ৮০০ টাকা হবে। এ ছাড়া ট্রেলারের জন্য ২৫০, বড় বাসের জন্য ৯০, মিনি ট্রাকের জন্য ৭০, কৃষিকাজে ব্যবহূত যানবাহনের জন্য ৬০ ও মাইক্রোবাসের জন্য ৪০ শতাংশ টোল দিতে হবে। আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে টোলের পরিমাণ কমে অর্ধেকে নামবে।