সিলেট: এবার সিলেট-জেদ্দা সরাসরি হজ ফ্লাইট নাই। পাশাপাশি মোয়াল্লিম ফি জমাদান সংক্রান্ত জটিলতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট থেকে এবার কি পরিমাণ যাত্রী পরিবহন করবে-সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ অবস্থায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সিলেটের প্রায় ৭ হাজার হজযাত্রী।
সিলেট বিমান অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরাসরি ফ্লাইট অপারেটিংয়ের মূল প্রতিবন্ধক হচ্ছে-ওসমানীতে রিফুয়েলিং স্টেশন এখনো চালু না হওয়া। তবে, হজযাত্রীদের সিট বরাদ্দ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।
তবে হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-সিলেট অঞ্চলের সভাপতি আজহারুল কবির চৌধুরী সাজু বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, সিলেট থেকে এবার প্রায় ৭ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করবেন। এজন্য তারা সিলেট-জেদ্দা সরাসরি ৭টি ফ্লাইট অপারেট করার জন্য বিমানের কাছে দাবি জানিয়েছেন। ৭টি ফ্লাইটে ৪১৯ জন করে প্রায় তিন হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। অবশিষ্ট ৪ হাজার যাত্রীদের ট্রানজিট হিসেবে সিলেট থেকে পরিবহনের দাবি তুলেছেন তারা।
কিন্তু, এ ব্যাপারে তারা এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানান তিনি।
বিমানের সিলেট অফিসের কমার্শিয়াল ম্যানেজার এমডি আকবর হোসেন হাওলাদার বাংলামেইলকে জানান, তারা এ নিয়ে কাজ করছেন। তবে, মোয়াল্লিম ফি ঢাকা ও সিলেটে জমা দেয়া সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আছে।
বিমান চাচ্ছে-সিলেটে যেসব হজ এজেন্সি মোয়াল্লিম ফি জমা দিয়েছে-তাদেরকে কেবল সিলেট এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাইট দেয়া হবে। আর সিলেটের যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ঢাকায় মোয়াল্লিম ফি জমা দিয়েছে-তাদেরকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে আকবর হোসেন জানান, ‘তারা এ নিয়ে ২-১ দিনের মধ্যে হাব নেতাদের সাথে বৈঠকে বসবেন। তবে, মোয়ালিস্নম ফি জমাদান সংক্রান্ত জটিলতা হাবের কেন্দ্রীয় অফিস ও বিমানের ঢাকা অফিস থেকে মিটমাট করতে হবে।
এদিকে, সিলেটের হাব চাচ্ছে-ঢাকা কিংবা সিলেট যেখানেই মোয়াল্লিম ফি জমা দেয়া হোক না কেন-সিলেটের হজযাত্রীদের সিলেট থেকে পরিবহন করতে হবে। এ নিয়ে তারা সংশ্লিষ্টদের সাথে দেন-দরবার করছেন।
জানা গেছে, সিলেটে প্রায় ৪৩টি হজ এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি এজেন্সির মোয়াল্লিম ফি জমা হয়েছে ঢাকায়। বাকিরা মোয়াল্লিম ফি জমা দিয়েছেন সিলেটে।
এদিকে, ২০০৭ সালের পর গত ৭ বছরেও সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট অপারেট হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ওই বছরের ২২ নভেম্বর সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সিলেট থেকে দুটি সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এরপর থেকে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। হাব দীর্ঘদিন থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি জানালেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
২০১৩ সালে সিলেট থেকে দুটি ডেডিকেটেড (ঢাকায় বিমানের কিছু সময় অবস্থান) ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। আর বাকি ফ্লাইটগুলো অপারেট হচ্ছে-সিলেট-ঢাকা, ঢাকা-জেদ্দা হিসাবে। ট্রানজিট ফ্লাইটের কারণে সিলেটের হজযাত্রীদের ঢাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।