১৫ দিন পর ফেনীর পরশুরামের বাঁশ পদুয়া সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি কৃষক মেজবাহ উদ্দিনের (৪৭) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পরশুরামের বিলোনীয়া স্থলবন্দর দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দুই দেশের পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্বামী বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে তাকে কিল-ঘুষি এবং লাথি মারতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বিষয়টি এলাকার লোকজন ও স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি এবং পরশুরাম থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়। নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর ১৬ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে থাকা লাশটি পরিবারের লোকজন শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে পড়ে থাকা মরদেহটি বিএসএফ নিয়ে যায়। বিএসএফের আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলেই লাশটি হস্তান্তর করা হবে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন খেজুরিয়া বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক এবং ভারতের পক্ষে আগরতলার সারসিমা কোম্পানির কমান্ডার এ সি সত্যিয়া পাল।
উল্লেখ্য, ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর গুথুমা গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মেজবাহ (৪৭) কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু ব্যবসা করতেন।
উৎসঃ দেশ রূপান্তর