দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্যে যখন প্রসার ঘটছে, ঠিক তখনই বন্দরের পানামা পোর্টের জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন থাকায় জায়গা বাড়ছে না পানামা পোর্টে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর বিঘ্নিত হচ্ছে পার্শিয়াল অপারেশন ওয়ার্ক। সময়মত পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হচ্ছে আমদানিকারকরা। সরকারও হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব।১৯৮৬ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় উত্তরবঙ্গের এই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। সরকার বানিজ্যে প্রসারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০০৭ সালে বন্দরটিকে বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের কাছে ২৫ বছর মেয়াদে ইজারা দেন।
এরপর ১০ একর জমির উপর নির্মিত হয় আধুনিক অবকাঠামো। বাড়তে থাকে সরকারের রাজস্বও। তবে পোর্টের পার্শিয়াল অপারেশনে বিঘ্নিত হওয়ায় আরও ১২ একর ৫৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সরকার। কিন্তু এই অধিগ্রহণের কাজ ধীর গতিতে চলায় বাড়ছে না পোর্ট অভ্যন্তরের জায়গা, নির্মাণ হচ্ছে না আরও আধুনিক অবোকাঠামো। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: মোয়েজ্জদ্দীন আহমেদ বলেন, অধিগ্রহণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। ভূমি মালিকদের ক্ষতিপুরণের টাকাও জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহারুল ইসলাম বলেন, জমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ হয়েছে। ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থলবন্দর কতৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত জায়গাটি হস্তান্তর করলেই আমরা অবোকাঠামো নিমান কাজে এগিয়ে যেতে পারবো।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি: এর সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও অপারেশন) এস এম হায়দার বলেন, অধিগ্রহণের কাজ ধীর গতিতে চলায় বিড়াম্বনায় পড়েছেন ব্যাবসায়ীরাও।