দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত সাহাবুল ইসলামের (২৩) লাশ ঘটনার তিন দিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের শূন্যরেখায় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিতম সিংহ বাংলাদেশের হাকিমপুর থানার এসআই হাসিনুর রহমানের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, শূন্যরেখায় ভারতীয় অ্যাম্বুলেন্সে রাখা সাহাবুল ইসলামের লাশ দেখে নিশ্চিত হন তাঁর বাবা আবুল হোসেন। পরে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ব্রজেন সিংহ হিলি থানার এসআই প্রিতম সিংহের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেন।
লাশ হস্তান্তরের সময় শূন্যরেখায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মেজর পি পান্ডে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি সিপ্রা রায়, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম, হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, ওসি আবু সায়েম মিয়া, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি বদিউজ্জামান, হিলি বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মাহাবুর রহমান প্রমুখ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাকিমপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধরন্দা ফকিরপাড়া মহল্লাসংলগ্ন রেললাইনের পশ্চিমে ভারতের হিলি থানার কুণ্ডুপাড়ার ধানখেতের পাশে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন সাহাবুল ইসলাম (২৪)। তিনি একই ওয়ার্ডের ধরন্দা মহল্লার আবুল হোসেন মণ্ডলের ছেলে।
নিহত সাহাবুল ইসলামের স্ত্রী বাবলী আক্তার বলেন, ঘটনার পর থেকে তাঁরা বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফের কাছে লাশ ফেরত পেতে যোগাযোগ করে আসছিলেন। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় লাশ আদৌও পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।