এক হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিমানে চড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি উড়বে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে।বুধবার ইউ-এস বাংলা গ্রুপের ডিজিএম (মার্কেটিং সার্পোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘ফ্লাইয়িং দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আরও মনোযোগী করার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এ বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে। পর্যটন বর্ষকে আকর্ষণীয় করার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলোকে এ প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কামরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে চাইলে অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী হতে হবে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে বিভাগীয় শিক্ষকের সুপারিশ নিয়ে তা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লগ ইন করতে হবে- www.facebook/usbair।
এই প্রোগ্রামের আওতায় একটি ফ্লাইট আকাশে ওড়ার পূর্বে কী কী কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়ে থাকে তা সরাসরি ফ্লাইট ক্যাপ্টেন ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউ-এস বাংলার রেকর্ড শতকরা প্রায় ৯৮ দশমিক ৭ ভাগ; যা দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
বর্তমানে ৭৬ আসনবিশিষ্ট তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।