ঢাকা: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা গোষ্ঠী ও সম্প্রসারণবাদী ভারতের যোগসাজসে ক্ষমতারোহণ করে আওয়ামী লীগ গত পাঁচটি বছর প্রভুরাষ্ট্রের ইশারায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব মিটিয়ে ফেলা এবং এদেশ থেকে ইসলাম-মুসলমান নির্মূলের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি চালিয়ে অগণিত আলেম-ওলামা এবং রাসূলপ্রেমী জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।”
শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সভাপতি শায়েখ আব্দুল মোমিন, নির্বাহী সভাপতি মোস্তফা আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহীনূর পাশা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কারী আব্দুল খালিক আসআদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান ও দফতর সম্পাদক মুফতী রেদওয়ানুল বারী সিরাজী।
জমিয়ত নেতারা বলেন, “সরকার ওলামায়ে কেরামের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালিয়েছে। জমিয়ত মহাসচিব মুফতি ওয়াক্কাসের মতো শীর্ষ আলেমসহ অসংখ্য আলেমকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার, রিমান্ড নির্যাতন এবং মাসের পর মাস বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রেখেছে। সেই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হলো, তাদের ইসলাম ও রাষ্ট্র বিনাশী যাবতীয় অপকর্মকে বৈধতা দেয়া, অসংখ্য রাসূলপ্রেমী শহিদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা।”
তারা বলেন, “এদেশের মাটিতে নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে দেয়া হবে না।”
জমিয়ত নেতারা অবিলম্বে জমিয়ত মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম, হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজহার ও মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনসহ কারাবন্দি ওলামায়ে কেরাম এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।