সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এই নির্বাচনে যেসব খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে তা শোধরাতে না পারলে দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
‘পৌর নির্বাচন: কেমন মেয়র পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এই অভিমত ব্যক্ত করে। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০১১ সালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও দুর্ভাগ্যবশত এবারের পৌর নির্বাচন আগের নির্বাচনের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা দুরূহ। নির্বাচনে যেসব নেতিবাচক দিক দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তা না শোধরালে ভবিষ্যতে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
নির্বাচনে পাঁচজন নারীর মেয়র পদে বিজয়ী হওয়াকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তবে তিনি বলেন, বড় দুটি দলই ব্যাপক পরিমাণে ব্যবসায়ীদের মনোনয়ন দিয়েছে। এর মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেনার একটা প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফল শুভ হয়নি। পৌর নির্বাচনে সেটিই দেখা গেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচন দলভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সুজনের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ী ও উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীরা বেশি জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে ৯৫ জন মেয়র স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস। অন্তত ২৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা বা হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের তুলনায় এবার ভালো প্রার্থী বেশি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১১ সালের মেয়রদের মধ্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাসের হার ছিল ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এবার তা ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।