আজ সেই ভয়াল দিন। ২০০১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পল্টন ময়দানের মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় উগ্র মৌলবাদি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। এতে সিপিবির ৫ জন নিহত ও শতাধিক কর্মী আহত হন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে ওই দিনের ঘটনায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ওই দিনের বোমা হামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মন্ডল, খুলনার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস আহত হন। পরে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ২ জানুয়ারি মারা যান।
আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে অমর মন্ডল, লক্ষণ মন্ডল, মো. জাহাঙ্গীর, আব্দুস সাত্তার, মিজানুর রহমান ও এম এ করিমসহ অনেকে পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন।
সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহম্মেদ এক বিবৃতিতে ২০ জানুয়ারির ঘটনায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
ওই বোমা হামলার দ্রুত বিচার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলা হয়েছে। দায়সারাভাবে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়েছে। এই হামলায় জড়িতদের পাশাপাশি নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
নেতারা আরো বলেন, ‘হামলা, নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের থামানো যায়নি ও ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের স্বপ্নের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই তাদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। শহীদদের রক্তপতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে।