ঢাকা: ‘দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো’ দাবি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘কোথায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফারুকী হত্যা ও মগবাজারের তিন খুন স্বাভাবিক ঘটনা। উন্নত দেশেও এরকম দুর্ঘটনা ঘটে।’
শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত মহাসমাবেশস্থল পরিদর্শনে এলে চ্যানেল আইয়ের ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী ও মগবাজারে তিন খুনের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ৩১ আগস্ট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাজধানীতে নিজ বাসায় খুন হন ফারুকী। বৃহস্পতিবার রাতে মগবাজারের একটি বাসায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন তিন জন। মগবাজারের তিন খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বলে দাবি করেন।
হানিফ বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলাম নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিন খুনের সঙ্গে তারা জড়িত কি না তা নয়ে সন্দেহ আছে। তারা যে চিন্তা ভাবনাই করুক না কেন কোনো কিছুতেই সফল হবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলন নিয়ে কোনো কথা বলা উচিৎ নয়। এতে মানুষও হাসে আমরাও হাসি। তারা হাস্যখোরাকের দলে পরিণত হয়েছে। তারা প্রথমে বলেছিলেন রোজার ইদের পর আন্দোলন করবেন এখন বলছে কোরবানির ইদের পরে আন্দোলন করবেন। তবে কোন কোরবানির ইদের পরে তারা আন্দোলন করবেন সেটা বলেননি। তারা যতোই আন্দোলনের ডাক দিক না কেন কোনো আন্দোলনই সফল হবে না। দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান উন্মাদ, মূর্খ, পাগল ও অর্ধশিক্ষিত। তার পাগলামির কারণে ছাত্র সমাজ আজ জেগে উঠেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। তাই এই অশালীন বক্তব্যের দায়-ভার তার মাকেই নিতে হবে। খালেদাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চায় তাহলে খালেদাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করবে ছাত্রলীগ।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।