একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেই বিচারপতিদের অভিশংসনের মতা সংসদের হাতে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকার বন্দুকের জোরে মতায় থাকতে চায়। তারা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রচার নীতিমালা করেছে। সংসদের হাতে বিচারপতিদের অভিশংসনের মতা দেয়া হচ্ছে। এভাবেই তারা সুপরিকল্পিতভাবে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে।
গতকাল দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে শেরেবাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে একযোগে বোমা হামলার ঘটনার সাথে খালেদা জিয়ার মদদ ছিলন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, সৈয়দ আশরাফ সাহেবের এই বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বার বার তারা জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন।
বিএনপিকে সম্পৃক্ত করতেই সরকারপ্রধানসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগের আমলেই শুরু হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, বিএনপি মতায় এসে তাকে নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। জঙ্গিদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিল। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তিনি দীর্ঘ সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বিএনপিতে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই। তাই যারা বিএনপিকে মৌলবাদের সাথে যুক্ত করতে চান, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পদে দীর্ঘ দিন থাকার পরও মির্জা ফখরুলকে ভারমুক্ত না করার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের জবাবও দেন ফখরুল।
তিনি বলেন, এটা সৈয়দ আশরাফ সাহেবের অনধিকার চর্চা। আমাদের দলের নিয়ম অনুযায়ী মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি দলের কাউন্সিলে নির্ধারণ হয়ে থাকে। এ নিয়ে আমাদের দলে কোনো সমস্যাও নেই।
Next Post