বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “আওয়ামী লীগে যারা মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তারা সীমান্ত পাড়ি দেয়া মুক্তিযোদ্ধা, অর্থাৎ শরণার্থী। তারা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধ কী জিনিস, রক্ত কী জিনিস তা তারা বোঝে না।”
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়। তারা মিথ্যাবাদী সরকার। তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না।”
“এখন বাংলাদেশের অস্তিত্ব নেই। শুধু নামে মাত্র বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে বিতাড়িত করে বিদেশিদের এদেশে ঠাঁই দিচ্ছে” উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “আমরা দেশে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এই নির্বাচন সম্ভব ছিল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তাই আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের দাবি করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। এই সরকার অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় এসে দেশ চালাচ্ছে। এই সরকার অত্যাচারী জুলুমবাজ সরকার।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগ পরিবারের উন্নয়ন।”
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন তিনি। রাজাকারি করার জন্য তার তো কারাগারে থাকার কথা। কিন্তু আজ তিনি কোথায় আছেন।”
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “কুইক রেন্টাল প্ল্যানের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। তাদের পকেট ভারি করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে।” বিএনপির চেয়ারপার্সন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া। এই জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন চালাতে হবে।” সংগঠনের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা।