ভোক্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লাগাতার আন্দোলন হুমকি ও তীব্র সমালোচনার মধ্যেও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানো হল। দরিদ্র গ্রাহক এবং কৃষিতে অপরিবর্তিত রেখে গড়ে এই মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য ঘোষণা করে। এতে বিতরণ কোম্পানির বিদ্যুতের গড় বিক্রয়মূল্য প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার (ইউনিট) ৫ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ১৫ টাকায় দাঁড়াবে।
দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আবারো আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে উঠছে বিএনপি।তবে আন্দোলনের শুরুটা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে হলেও আন্দোলন শেষ হবে সরকারের বিদায়ের পর এমনটাই আশা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার দেশের উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলের আহবান জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সরকারের মদদে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছ। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে গরিব জনগোষ্ঠীর উপর চাপ ও অর্থনীতির উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। জনগণকে অগ্রাহ্য করে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে বিএনপি।’
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি চূড়ান্ত ভাবে সরকার হটানোর আন্দোলনে নামবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাগাতার হরতাল অবরোধে মত কঠোর কর্মসুচি দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তারা।
সম্প্রতি রাজবাড়ী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খুশি রেলওয়ে মাঠ ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় উপজেলা নির্বাচন শেষে দ্রুত সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দল গোছানোর কাজ চলছে জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন শেষ হলে দ্রুত আমাদের সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ১৯ দলীয় জোটকে পরাজিত করা যাবে না।’
এদিকে বিএনপির পাশাপাশি কয়েকটি বাম দলও শ্রমিক,বাম মোর্চা, সিপিবি,বাসদ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দাবিতেও হরতাল সহ কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে দলীয় একটি সূত্র জানায়, আগামী ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের পাশের মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখান থেকেই এই অবৈধ সরকার হটানের কঠোর কর্মসূচি দেবেন তিনি।