ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। এটা বুঝতে পেরেই খালেদা জিয়া এখন বিদেশি প্রভুদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। তিনি শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ৭ মার্চ আওয়ামী লীগের জনসভা সফলের প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন। হানিফ বলেন, ‘সরকার পতনের জন্য খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে আহত করছেন, পুড়িয়ে মেরেছেন। কোনো লাভ হয়নি।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এভাবে লাভ হবে না জেনে মার্কিন কূটনীতিক ও বিদেশি প্রভুদের কাছে খালেদা জিয়া আকুলি-বিকুলি করছেন। ধর্ণা দিচ্ছেন। যতদিন আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সহায় আছেন, ততদিন বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’ হানিফ বলেন, ‘জনগণ যতদিন না চাইবে ততদিন আপনারা যতই চেষ্টা করেন কোনো লাভ হবে না। দেশের জনগণ একদিন যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ আপনারা সেই জনগণের সঙ্গেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’ বিএনপি নেতাদের মধ্যে হতাশা চলে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম মাহবুবুর রহমান বলেছেন- বর্তমান যে হরতার দেওয়া হচ্ছে, সেটা জনগণ মানছে না। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন তাহলে কেন দিচ্ছেন? তখন তিনি বলেন- কেন দিচ্ছি সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। এর অর্থ দাঁড়ালো বিএনপি নেতাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।’ খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনার দলের নেতারাই এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে বিশ্বাস করে না। আপনার ছেলের জানাজায় যে লোক সমাগম হয়েছিল, তার থেকে বোঝা যায় আপনার জনসমর্থন আছে। অতএব সহিংসতা ছেড়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান। তখন জনগণ আপনাকে নিয়ে আবার ভাবতেও পারে।’ ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই দলটি অতীতে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছে। আশা করি আগামীকালের (শনিবার) জনসভায়ও তারা ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।’ হানিফ বলেন, ‘কারণ এমন একটি সময়ে আমরা এই সমাবেশ করছি, যখন যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ভীতি সৃষ্টি করছে।’ প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হায়দার মাহমুদ স্বপন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দি, মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। আর পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।