ঢাকা: আওয়ামী লীগ যা করছে এটা ইলেকশন নয়, নির্লজ্জ সিলেকশন হচ্ছে। নির্বাচনের নামে প্রহসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভালোই করেছে। এতে করে বিরোধী দল ও জনগণকে আর ভোট দিতে হবে না। জনগণও অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে।’
সেই সঙ্গে তিনি দশম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। এ আন্দোলনে আমরা সবসময় জনগণের পাশে থাকবো।’ দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
এর আগেও ২১ অক্টোবর রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেন খালেদা জিয়া। অবশ্য সরকার তা গ্রহণ করেনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অবরোধের মধ্যেই বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে গুলশান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা। এছাড়া অবরোধ শেষ হওয়ার আগেই গাড়িতে করে বিএনপি ও জোটের নেতারা গুলশান কার্যালয়ে আসতে থাকেন।
গুলশান অফিসে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আর এ গণি, নজরুল ইসলাম খান, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত রয়েছেন।