আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের যা অর্জন আওয়ামী লীগের, ক্রিকেট-ফুটবলের উন্নতিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান। সময় মতো জেলা ইউনিটগুলোর কাউন্সিল না হওয়াকে ‘লজ্জার ব্যাপার’ বলেও মনে করেন তিনি।
আজ রোববার কক্সবাজারের শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। দীর্ঘ এক যুগ পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর ছিল কক্সবাজার শহর। তবে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সম্মেলন মাঠে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে সভাপতি পদে ছয়জন এবং সাধারণ সম্পাদক পড়ে সাতজন প্রার্থী লড়ছেন।
সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিন বছর পরপর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হওয়ার কথা। হচ্ছে ১০-১৫ বছর পরপর। এতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা থাকে না। সাংগঠনিকভাবে দল দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন থেকে প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন মেয়াদের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, ১২ বছর পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। তিন বছর পরপর সম্মেলন হলে ১২ বছরে চারজন সভাপতি ও চারজন সাধারণ সম্পাদক তৈরি হতো। দলের মধ্যে তৈরি হতো নেতৃত্বের সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এখন থেকে নিয়মিত দলের সম্মেলন করা হবে।
সম্মেলনে গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পরিপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া এই সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত নিয়ে কটাক্ষ করছেন। একাত্তরে নাকি ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হননি। পাকিস্তান নাকি এখানে গণহত্যা চালাইনি। আসলে তিনি (খালেদা জিয়া) কথা বলেন—বেসামাল অবস্থায়। খালেদা জিয়ার এমন মিথ্যাচারে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সম্পাদক হাছান মাহমুদ, কক্সবাজারের স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি, সাইমুম সরওয়ার ও আশেক উল্লাহ রফিক, সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।