বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে দলটি।
গতকাল বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দলের এ অবস্থানের কথা জানান।
এর আগের দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই আলাপ-আলোচনা করে সমাধানের একটি পথ বের করতে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। এ জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যেহেতু তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, এ দায়িত্ব তাদের।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করেন দেন। তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) আজকে সংলাপের কথা বলছেন, ন্যায়ের কথা বলেন, শান্তির কথা বলেন। এই যে ১৪৭ জন মানুষকে হত্যা করা হলো, তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান নাই। জাতির কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। এ জন্য খালেদা জিয়া কোনো সংকট বা সংলাপের কথা বলার আগে এই ধরনের বর্বরোচিত নৃশংসতার জন্য তাঁর আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং এরপর তিনি অন্য কিছুর জন্য আবেদন করতে পারেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের শুরুতেই হানিফ বলেন, ‘কুখ্যাত রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর রায় বহাল রাখার কারণে গোটা জাতি সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ রায়ের প্রতি সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, এ রায়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অভিশাপমুক্তির পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বাঙালি জাতি একাত্তরের শহীদদের দায়মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা নিয়ে গতকালের এই যৌথ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। সভায় বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সমাবেশ ১০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১১ জানুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন।
Prev Post