বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদারের আদালত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় সোমবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। বেলা এগারটার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদারের আদালতে শুনানি শুরু হয়। বাদির পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার প্রতিবাদে সিএমএম আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’। এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি। গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।