ঢাকা: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ‘অবরোধ’ কর্মসূচিকেই অধিক ফলপ্রসূ ও কার্যকর মনে করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আর এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে এটিকেই হাতিয়ার হিসেবে বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য দলটির শীর্ষ নেতাদের। তাদের মতে, অবরোধই শেষ কথা নয়; দলীয় চেয়ারপারসন রাজপথে নামলে খুব শিগগিরই আন্দোলনে আসবে নতুন মাত্রা, অর্জিত হবে লক্ষ্য। খবর সময় টেলিভিশনের।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তির পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। এটি পুনর্বহালের দাবিতে দলটি কখনো দলগতভাবে আবার কখনো জোটগতভাবে চালিয়ে আসছে আন্দোলন। মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, জনসভা পেরিয়ে আসে হরতাল। এরপরও সরকার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় দেয়া হয় অবরোধ। এই কর্মসূচি চলাকালে দেশব্যাপী সহিংসতায় ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও।
রাজনৈতিক বিবেচনায় অবরোধকে ফলদায়ক মনে করলেও চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছুতে ভিন্নমাত্রার কর্মসূচির পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতার কথা জানালেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে অব. মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলায় অবরোধে সরকারি কোনো কর্মকাণ্ড নেই। সব মানুষ এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। তিনি বলেন, অন্য কোনো বিকল্প যেহেতু নেই তাই একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে আন্দোলন। আন্দোলনকে এই শেষ সময়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা তৈরি হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাঠ তৈরিতে বাধ্য করা হবে সরকারকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবরোধ যে কার্যকর হয়েছে তার প্রমাণ আজকে ঢাকা শহর অবরুদ্ধ। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি রাস্তায় নামেন তাহলে তিনি যে নির্দেশ দেবেন বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে।