চট্টগ্রাম: লোহাগড়ায় যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর পরবর্তী ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছে।
দুই মামলায় এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০৮৬ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে লোহাগাড়া থানার দুজন এসআই মামলা ২ টি করেন।
পুলিশ জানায়, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হচ্ছে এমন সংবাদ শুনে জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার পুরান বিওসি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও স্থানীয় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় এস আই প্রভাত কর্মকার বাদী হয়ে ৩৬ জন এজাহারনামীয় ও ২’শ অজ্ঞাতনামা জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
এছাড়া গত ১২ ডিসেম্বর উপজেলার পদুয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ব্যারিকেট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও স্থানীয় শাহ পেঠান ফিলিং ষ্টেশনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানা পুলিশের এস আই সোলাইমান বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ৭০ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫শ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে আসামী করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
এ দু’ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৮০৬ জন।
লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘কাদের মোল্লার রায় পরবর্তী সময়ে জামায়াত শিবির উপজেলায় দু’দিন ধরে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এম এস