ঢাকা : ২০ দলীয় জোটের ডাকা বর্ধিত ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে। রোববার ভোর ৬টায় শুরু হয়ে বুধবার ভোর ৬টায় ৭২ ঘন্টার শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই মঙ্গলবার বর্ধিত এ হরতালের ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হবে হরতাল।
মঙ্গলবার জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু হরতালের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিটি কর্মদিবসে হরতাল পালন করছে বিএনপি জোট।
হরতাল-অবরোধকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যৌথ টহল টিম নামানো হয়েছে। দেশের অন্যান্য নগর মহানগর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। হরতাল-অবরোধের সমর্থনে মিছিল-পিকেটিং ঠেকাতে সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া অবরোধ-হরতালে যে কোন সহিংসতা মোকাবেলায় পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি সারা দেশে বেশ কয়েক প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষিপ্ত মিছিল-পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে তেমন কোন সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালে সকালে রাজধানীতে সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে প্রশাসনের সাথে বৈঠকে ঢাকা পরিবহণ মালিক সমিতির গাড়ি চালানোর আগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচল কিছুটা বাড়লেও পরিবহনগুলোতে যাত্রী সংখ্যা কম দেখা যায়। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলও ছিল কম।
সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে চলছে ট্রেন। এছাড়া লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক। তবে গাবতলি, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে দূরপাল্লার হাতেগোনা কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
এস কে