এরশাদ সোলজার, পলিটিশিয়ান নন : কাজী জাফর
‘দেশ আজ একটা গৃহযুদ্ধ ও গণ-বিপ্লবের মুখোমুখি’
‘হাসিনা ত মুক্তিযুদ্ধ করেনি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা’
‘দেড় বছর ধরে এরশাদ বিএনপির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে’- আজ চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় এরশাদ সম্পর্কে কাজী জাফর আহমেদ একথা বলেন। তিনি বলেন, এরশাদ আমার মাধ্যমে বিএনপির সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে। সর্বশেষ বিএনপির কাছে জতীয় পার্টির জন্য ৯২টি আসনের জন্য দাবি জানানো হয়েছে। তিনি বলন, অনেক বিষয় রয়েছে, কিন্তু আজ আমি আর বেশি কিছু বলব না।
তিনি বলেন, “তিনি তো সোলজার, পলিটিশিয়ান নন। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আমি জাতীয় পার্টিকে মহাজোট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছি। টিপাইমুখ নিয়ে প্রতিবাদের সময়ে মহাজোটকে লাথি মেরে চলে আসতে বলেছি। বনানীতে পার্টির সভায় মহাজোটকে তালাক দিয়ে চলে আসতে বলেছি। এ প্রসঙ্গে এরশাদ সাহেব সব সময়ে বলতেন, ‘আমি সোলজার, জানি কখন ফায়ার করতে হয়। সময় হলেই মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসব।’”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতিতে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তারা অত্যন্ত পরিস্কারভাবে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। চীন স্বাধীন বাংলাদেশ দেখতে চায়- যে চাওয়াটা কিন্তু খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। দেশ আজ একটা গৃহযুদ্ধ ও গণ-বিপ্লবের মুখোমুখি। গণতন্ত্র বলে আজ কিছু অবশিষ্ট নেই। লাঠি চার্জও করা হচ্ছে না, সরাসরি গুলি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবকিছুতে জামায়াত-শিবিরকে দোষ দেওয়া শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। রাজাকারদের বিচার নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। হাসিনা ত মুক্তিযুদ্ধ করেনি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা। এমনকি বন্দি থাকার কারনে বঙ্গবন্ধুও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। যদিও তার নামেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ সব কিছুতেই মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলছে, অথচ তারাই তো যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের কখনো রাজাকারদের সাথে এনকাউন্টার হয়নি, হয়েছে হানাদারদের। তারপরও নিরপেক্ষ বিচার হলে আমরা তাকে সমর্থন করি। কিন্তু শুরু থেকেই গোটা বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি বলেন, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। দেশের এই সংঘাতময় অবস্থার সমাধান রয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি সামান্য একটু সদয় হলেই সমাধান হয়ে যায়। দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। অর্থনীতি একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় কেউ যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গোয়ার্তমি করে তাহলে ইতিহাসের নিষ্ঠুর পরিনতির মুখোমুখি হতে হবে।
অনুষ্ঠানের অপর আলোচক হায়দার আকবর খান রনো বলেন, শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীরাও গুলি করছে।