ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধ, অনির্বাচিত, দখলবাজ আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রশক্তির চূড়ান্ত অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের এই জনপদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অবৈধ সরকারের এহেন শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর জনগণ অচিরেই আইন অমান্য ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ইদানিং আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্য জনসমাবেশে আন্দোলনকারীদের এনকাউন্টার এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় কর্তারাও প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করে ক্রসফায়ারে হত্যার কৃতিত্ব দাবি করে বেড়াচ্ছেন। এসব বিকৃত মস্তিস্কের নেতা-মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত পরিণতি গণকারফিউ এবং গণপিটুনিতে নির্ধারিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকাশ্য দাম্ভিক ঘোষণা আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে। তাকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি, এবার তার পিতা-মাতা-অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাত্রদল নেত্রী নিশিতাকে। তাদের অপরাধ তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসেছিলেন। ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাজীপুরের সিটি মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে। আমরা এ জাতীয় বেআইনি ও ঘৃণ্য গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার হত্যা-নির্যাতনের উন্মত্ততায় মূলত জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলে রাষ্ট্রক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, অপহরণ ও গণগ্রেপ্তার করে মূলত সরকার নিজের নিরাপদ অবতরণের পথকেই ক্রমশ সঙ্কুচিত করে যাচ্ছে।’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, এখনও সময় আছে, ফ্যাসিবাদী একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের উন্মাদনা ও ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে সরে এসে গণদাবি মেনে নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করুন এবং দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন। অন্যত্থায় গণআন্দোলনে পতনের পর গণরোষে নিপতিত হয়ে পরিণাম শুভ হবে না। ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।’