নেতার পরামর্শে বিএনপিতে ফিরছেন বি.চৌধুরী

0

B chw[ads1]সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) বিএনপিতে ফিরতে চান এমন কথা গত কয়েক মাস ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

এদিকে এর জন্য প্রয়োজনে তিনি নিজের দল বিকল্পধারা বিলুপ্ত করতেও রাজি আছেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতি পদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন বি চৌধুরী। এরপর ২০০৪ সালের মার্চ মাসে বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করেন। নিজে দলের প্রেসিডেন্ট হন। মহাসচিব বানান মেজর (অব.) এম এ মান্নাকে। ছেলে মাহী বি চৌধুরীকে এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব পদে বসান। ওই বছর উপনির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে জয়লাভ করে বিকল্পধারা। বর্তমান সংসদে দলটির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।

তবে তিনিসহ দলের তিন প্রধানকে দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ পদ।আর বিপত্তি বেধেছে সেখানেই। কারণ বিএনপির পক্ষে চাহিদা অনুযায়ী পদ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
[ads2]
অবশ্য বিএনপিতে যাওয়ার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি বি. চৌধুরীর ছেলে ও বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ফিরিয়ে আনতে চাই। কিন্তু বিএনপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমিও এ ধরনের গুজব শুনতে পাচ্ছি।

বিকল্পধারার দলীয়সূত্র জানিয়েছে, মূলত মাহী বি. চৌধুরীর পরামর্শেই বিএনপিতে ফিরতে চাওয়া বি. চৌধুরীর। এর জন্য গত কয়েক মাস ধরে নানা কৌশলও আঁটছেন তিনি। কিন্তু পেরে উঠছেন না বিএনপির ভেতর ও বাইরের প্রতিপক্ষের কারণে। কিন্তু তিনি বসে নেই। সংস্কারপন্থী নেতৃবৃন্দকে নিজের পতাকাতলে নিয়ে ভেতরে ভেতরে গোপন বৈঠক করছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে বিএনপির বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির কিছু নেতার সঙ্গেও বিরোধ বেধেছে বি চৌধুরীর। তারা চাইছেন না, তিনি বিএনপিতে আসুন। কারণ এতদিন ধরে এসব বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতিক বিএনপির রাজনীতির অন্যতম পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন নানা ফর্মুলাও। ফলে তারা চাইছেন না বি চৌধুরী বিএনপির রাজনীতিতে পুরোদস্তুর ফিরে আসুন।[ads1]

পদ ও বি চৌধুরীর বিএনপিতে ফেরার অন্যতম বাধা বলেও দাবি করেছেন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বি চৌধুরী চাইছেন তার দলের তিনজন, অর্থাৎ তিনি, তার ছেলে ও আবদুল মান্নানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিশেষ করে তার ছেলেকে বিএনপিতে একটি ভালো পদে দেখতে চান তিনি। কিন্তু বিএনপির শীর্ষনেতৃত্ব তাতে রাজি হচ্ছে না।

সূত্রগুলো আরো বলছে, উদীয়মান নেতা হিসেবে মাহী বি চৌধুরীর ওপর কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এ কারণে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের পরিবর্তে মাহী বি চৌধুরীকেই সমর্থন দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের সিনিয়র কিছু নেতার তুমুল বিরোধিতার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। বিএনপির সেই মহলটিই এখন বি চৌধুরী বা মাহীকে দলে ভিড়তে বাধা দিচ্ছে।

বিকল্পধারার সূত্রগুলো বলছে, বি চৌধুরীর বিএনপিতে ফেরার খবর শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। এ কারণে দলেও তাদের মনোযোগ নেই। কার্যত রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের মধ্যে নেই দলটি। এই মুহূর্তে বি চৌধুরী কিছুটা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন দলের এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। ব্যবসার কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নানের। রাজনৈতিক ও সামাজিক কোনো কর্মকা- তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দলের আর কোনো সক্রিয় নেতাকর্মীও নেই, যারা দলের প্রধান তিন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে দলীয় কর্মকা- এগিয়ে নেবেন। অথবা প্রেসিডেন্ট, মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিবের অবর্তমানে দলের হাল ধরবেন।[ads2]

সূত্রমতে, সারা বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর মাহে রমজানে দলের মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার ইফতার মাহফিলে অংশ নিতেন বি. চৌধুরী। এবারও রমজান শুরুর আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইফতার মাহফিলের দাওয়াত দেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যানকে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নিজে গিয়ে বি চৌধুরীকে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে আসেন। কিন্তু গত ১১ জুন রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত খালেদা জিয়ার ওই ইফতার মাহফিলে যাননি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট। দলের কোনো প্রতিনিধিকেও পাঠাননি তিনি।[ads1]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More