নৌকা-ধানের শীষের লড়াই না হলে মজা লাগে না, বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা-ধানের শীষের লড়াই দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে গড়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাসিম এসব কথা বলেন। প্রয়াত বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে লড়াই না হলে মজা লাগে না। এই মজা আমরা চাই তো। এই যে মজা হলো পৌরসভায়। সেখানে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হয়েছে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা-ধানের শীষের লড়াই দেখতে চাই। আমরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে বিশ্বাস করি। ২০১৯ সালেও নৌকার সঙ্গে ধানের শীষের লড়াই আমরা দেখতে চাই। আমরা দেখাতে চাই আবার নৌকার কাছে ধানের শীষের পরাজয় হয়েছে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, ‘আপনারা কাউন্সিল করবেন। নিশ্চয় করবেন। এটা আপনাদের অধিকার। কে বাধা দেবে? প্রশাসনকে আমি বলব—বিএনপির কাউন্সিলের সব সুযোগ-সুবিধা করে দেন, কোনো অসুবিধা নাই। বিএনপি শক্তিশালী হোক, এটা আমরা চাই। কিন্তু আপনাদের নেত্রীর কারণে ভুল করছেন, এই পথ থেকে বেরিয়ে আসুন।’
আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমি শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। মির্জা ফখরুল বলে কী? বিএনপি এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্থির। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস করিনি, করব না। আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি। এখানে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে পর্যন্ত এখনো ঘটেনি।’ মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আপনাদের লক্ষ্যটা কী, বলেন তো দেখি? বিএনপির আদর্শটা কী? এখন পর্যন্ত আপনারা ঠিক করতে পারেন নাই মুক্তিযুদ্ধের সময় কার পক্ষে আপনারা থাকবেন। আপনারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের রাজনীতি করেন।’ তিনি বলেন, যে দলের কোনো কোনো আদর্শ নাই, লক্ষ্য নাই, তারা সমালোচনা করে কীভাবে?
ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ করে নাসিম বলেন, সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে, কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর প্রিয় সহধর্মিণী শেখ হাসিনা ও ছোট বোনের মতো শেখ রেহানাকে সন্তানের মতো আগলে রেখেছিলেন শেখ রেহানাকে। নেপথ্যে থেকে সাহস দিয়ে, অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে শেখ হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ওয়াজেদ সাহেব। এর তুলনায় হয় না। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেই একবিন্দু ক্ষমতা ভোগ করেন নাই। চিন্তা করা যায়! ওয়াজেদ মিয়া একজন নির্লোভ, সহজ সরল মানুষ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনজীবী এম. আমীর-উল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় ভারতের সাংবাদিক অম্বর মুখার্জি, সমাজসেবায় শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান, বিজ্ঞান গবেষণায় নেপালের বিজ্ঞানী ওমরদীপ চৌধুরীকে স্বর্ণপদক এবং মুক্তিযোদ্ধা নন্দ দুলাল গোস্বামী ও মোহাম্মদ যায়েদ হোসেনকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।