[ads1]ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সোমবার দুপুরে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হান্নানের বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা মিছিল করেছে। এসময় উপজেলা পরিষদের নিচতলায় পরিসংখ্যান অফিসসহ কয়েকটি অফিসের দরজা-জানালাও ভাঙচুর করে তারা। পরে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ের দরজা-জানালায়ও ভাঙচুর চালায়। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফুলছড়ি ইউনিয়নের বাজে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে তারা ওই ভাঙচুর চালায়। তবে এব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ জানান, বিক্ষোভকারীরা সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে না পেয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ এ ভাঙচুর চালিয়ে তাদের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খায়রুল বাশার ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গাইবান্ধা জেলা শহরে সোমবার বিকেলে বিরাট লাঠি মিছিল বের করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ ও ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন জিএম সেলিম পারভেজ ও আব্দুল হান্নান প্রমুখ। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ফুলছড়ি ইউনিয়নের বাজে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পুনরায় গণনার আবেদনপত্র হস্তান্তর করেন। এর আগে জেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর ইসলামের প্রামানিকের কাছেও ওই দুই ভোট কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সেখানে ভোট পুনরায় গণনার দাবি সম্বলিত একটি আবেদনপত্র প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ আবেদনপত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ জানান, গত ৪ জুন শনিবার ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠলে তারা ভোট পুনরায় গণনার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু তাদের সে দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। তারা মনে করেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল গফুর মন্ডলের পক্ষ নেয়ায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। [ads2]
Prev Post