বান্দরবান: বান্দরবানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়রসহ অন্তত ১৫ জন। জেলা বিএনপি কার্যালয় ও নেতা কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে। শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে বাজার এলাকা থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে মুক্ত মঞ্চ হতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মিছিল বের করলে উভয় দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। নেতা কর্মীরা ইট পাটকেল ও লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি মুজিবুর রহমান জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র জাবেদ রেজাসহ উভয় দলের অন্তঃত ১৫ জন নেতা কর্মী আহত হন। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এছাড়া শহরে বিএনপির নেতার পরিচালনাধীন দৈনিক সচিত্র মৈত্রীর কার্যালয় ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়।
সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে বান্দরবান বাজারের দোকাট পাট বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষের পর প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাংবাদিক ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা এইচ এম সম্রাটের উপরও হামলা চালায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শহরে ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইট পাটকেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদক কাজী মুজিবুর রহমান আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান বিএনপি সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে মিছিল ও সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা প্রথমে তাদের উপর হামলা করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান জানান তাদের দলের নেতা কর্মীরাও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন করছিল। কিন্তু প্রথমে বিএনপির মিছিল থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে কাজী মুজিবুর রহমান আহত হলে নেতা কর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে পরে। সংঘর্ষের ঘটনার জন্য উভয় দলই একে অপরকে দায়ি করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আর ডি