বিতর্কিতদের মনোনয়নপত্র জমা

0
image_65065_0জেলা প্রতিনিধি
যশোর: আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যশোরে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তসহ বিতর্কিতরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মনোনয়ন জমা দেয়ার খবরে জনসাধারণের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে যশোর এসে সদর আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নাবিল আহম্মেদ।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। এরমধ্যে যশোর-১ (শার্শা) আসনে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী হলেন শেখ আফিল উদ্দিন।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম ছাড়াও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, এবিএম আহসানুল হক ও জেপি (মঞ্জু) বিএম সেলিম রেজা, জাতীয় পার্টি (এ) হোসেন আলী সরদার ও স্বতন্ত্র আলিউজ্জামান।

যশোর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী নাবিল আহমেদ, জাতীয় পার্টির মাহবুবুল আলম বাচ্চু, জাসদের রবিউল আলম ও বিএনএফের আবুল কালাম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, জাতীয় পার্টির সাব্বির আহমেদ ও খেলাফত মজলিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন শরিফুল ইসলাম।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের খান টিপু সুলতান, স্বতন্ত্র হিসেবে সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্য ও কামরুল হাসান বারী, জাপার শরিফুল ইসলাম চৌধুরী সরু মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের ইসমত আরা সাদেক, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য যুদ্ধাপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন এবং বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রমতে, জেলার ছয়টি আসনে যারা প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তারা বিতর্কিত হয়েছেন। শার্শা থেকে মনোনয়ন জমা প্রদানকারী শেখ আফিল উদ্দিন ওসিকে মারপিট করার জন্য, ঝিকরগাছার বাসিন্দা সাবেক প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ওয়ান ইলেভেনের সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কলেঙ্কেকারির ঘটনায় নিজ দলেই সমালোচিত হন। এছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস লালন পালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

আর যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন পাওয়া কাজী নাবিল আহম্মেদ ও তার পরিবার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। আওয়ামী ঘরানার সেই ক্ষোভ এখন নতুন করে জেগে উঠেছে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত নাথ সাংবাদিকদের বলেন, নাবিল মনোনয়ন জমা দেয়াসহ বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গরীবশাহ মাজার জিয়ারত করেন।

এদিকে শার্শা থেকে একমাত্র শেখ আফিল উদ্দিন মনোনয়ন জমা দেয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More