প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে পুড়িয়ে মারা এবং ভোটাদের ‘কুকুর’ বলার জন্য তওবা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন ধ্বংসাত্মক রাজনীতির নামে দেশবাসীকে পুড়িয়ে মারা এবং গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়া ভোটারদের ‘কুকুর’ বলার জন্য অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটারদের ‘কুকুর’ বলার জন্য তাকে (খালেদা জিয়া) অবশ্যই তওবা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সভাপত্বিকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গত সাধারণ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রেগুলোতে কুকুর ও পুলিশ ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না বলে যে জঘন্য মন্তব্য করেছেন এ জন্য তাকে তওবা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদকবৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে তখন। দেশে শুরু হয় ক্যু-পাল্টা ক্যু’র রাজনীতি। তিনি (জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসান, রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এমপি করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দুর্নীতি-অনিয়ম, অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এর ফলে ১৯৯৬ সালে জনরোষে তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন, ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করেও তারা টিকে থাকতে পারেননি।’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতোই দেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’বাবা-মা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে নয় বছরের শিশুকে পর্যন্ত সে সময় ধর্ষণ করা হয়।’
১৯৯৬ সালে একবার ও ২০০৮ সালের পর থেকে দু’বার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট ও তিনবারের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ কিছু পায়।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ভিশন-২০২১। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে কিভাবে গড়ে তুলতে চাই, সেটাই ভিশন। শুধু তাই নয়- এখনই আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালিয়েছি বলেই এমনটা পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তি- সব আমাদের সময়ই হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ছিটমহল/ভূমি নিয়ে যুদ্ধ হয়, ঝামেলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে তা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন ধ্বংসাত্মক রাজনীতির নামে দেশবাসীকে পুড়িয়ে মারা এবং গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়া ভোটারদের ‘কুকুর’ বলার জন্য অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটারদের ‘কুকুর’ বলার জন্য তাকে (খালেদা জিয়া) অবশ্যই তওবা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সভাপত্বিকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গত সাধারণ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রেগুলোতে কুকুর ও পুলিশ ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না বলে যে জঘন্য মন্তব্য করেছেন এ জন্য তাকে তওবা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদকবৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে তখন। দেশে শুরু হয় ক্যু-পাল্টা ক্যু’র রাজনীতি। তিনি (জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসান, রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এমপি করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দুর্নীতি-অনিয়ম, অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এর ফলে ১৯৯৬ সালে জনরোষে তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন, ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করেও তারা টিকে থাকতে পারেননি।’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতোই দেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’বাবা-মা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে নয় বছরের শিশুকে পর্যন্ত সে সময় ধর্ষণ করা হয়।’
১৯৯৬ সালে একবার ও ২০০৮ সালের পর থেকে দু’বার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট ও তিনবারের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ কিছু পায়।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ভিশন-২০২১। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে কিভাবে গড়ে তুলতে চাই, সেটাই ভিশন। শুধু তাই নয়- এখনই আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালিয়েছি বলেই এমনটা পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তি- সব আমাদের সময়ই হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ছিটমহল/ভূমি নিয়ে যুদ্ধ হয়, ঝামেলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে তা হয়নি।