ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত এক মাসের অবরোধে গাড়িতে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যুতে বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে এতে তাদের কী অর্জন হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি।
রবিবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিএনপি নেত্রীকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংস করা, পুড়িয়ে ফেলা, লাশ ফেলা ছাড়া আর কোনো অর্জন তাদের নাই। এটা করে যদি মনে করেন, বিরাট কিছু করে ফেলেছেন- তা হলে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা দেশের নেতৃত্ব দেবে। এরা ক্ষমতায় ছিল। আবার ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সে ক্ষমতা মানুষের লাশের ওপর দিয়ে কেন? সেটাই আমার প্রশ্ন।’
ক্ষমতায় যেতে হলে গণতান্ত্রিক উপায়েই যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি নেত্রী ‘ভুল’ করেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা জিয়া, নির্বাচনে যায় নাই। এর খেসারত জাতি কেন দেবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মেরে সেই লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন? এটা কোন ধরনের বিবেচনা? কী ধরনের কাজ- আমি জানি না। আল্লাহ তাদের সুমতি দিক।’
খালেদা জিয়ার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বোধ হয় উম্মাদ। নইলে বাড়িঘর ছেড়ে অফিসে থেকে কোন বিপ্লব ঘটাচ্ছেন- আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘এতে উনি কী পাবেন আমি জানি না। আল্লাহ এদের সুমতি দিক- মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধ করুক, ছেলে-মেয়েরা যাতে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব কিছু একটা নিয়মের মধে নিয়ে এসেছি সেই সময় এই হরতাল অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা। অবরোধের মধ্যে আবার হরতাল, অর্থাৎ মরার ওপর খাড়ার ঘা। বিএনপি-জামাত জোট মিলে এসব করে যাচ্ছে। জানি না বিএনপি নেত্রীর কী উদ্দেশ্য।’
এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও হরতাল ডাকার সমালোচনা করে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিতে করে তিনি বলেন, ‘মানুষ লেখাপড়া শিখুক, মানুষ হয়ে উঠুক, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক- তা তিনি চান না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামাত-শিবিরও আবার হরতাল ডাকে। লেখা পড়া শিখলে তো বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তাই তারা দেশের মানুষকে লেখাপড়া শিখতে দিতে চায় না। এটাই বোধ হয় তাদের উদ্দেশ্য।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার-শনিবার আবার হরতাল দেয় কি না- এদের বিশ্বাস নাই। এরা তো ধর্মের নামে ব্যবসা করে। দেখা গেল শুক্রবারেও হরতাল দিয়ে দিল।’