আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ইহুদি চক্রান্তে মুসলমান দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করে তারা পথভ্রষ্ট। রাসুল পাক (সা.) মানবতা ও শান্তির মর্মবাণী প্রচার করে মানুষকে দাওয়াত দিতেন। নবী পাকের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মানুষ ইসলামের পতাকা তলে এসে শান্তি অন্বেষন করতেন। কিন্তু আইএস মনুষ হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চায়। আজ আমাদের ঈমানী দায়িত্ব এসেছে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা।[ads1]
তিনি আরো বলেন, আইএস প্রথমে ইরাক ও সিরিয়ার মুসলমানদের ধ্বংস করেছে। এখন বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র ধ্বংস করতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। মাহবুবউল আলম হানিফ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তে “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আহ্বান শীর্ষক” এক কর্মশালায় প্রশান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সুলতান আহম্মেদ। কর্মশালায় বিশেষ মেহমান হিসেবে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, সংসদ সদস্য তাহজীব সিদ্দিকী সমি, নবী নেওয়াজ, আনোয়ারুল আজিম আনার, জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ারদার, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক হারুন অর রশিদ বক্তব্য রাখেন।[ads2]
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে জামায়াত-শিবির দেশে নাশকতা ও তাণ্ডব শুরু করে। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ৯০ দিনের আন্দোলনে নিষ্ঠুর, পৈশাচিক ও বর্বর কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়েছিল। পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ খুন করেছিল। তারপর শুরু করা হলো গুপ্ত হত্যা। বিদেশি নাগরকিদের একের পর এক খুন করা হলো। তারপর এখন হাজার বছরের সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে সেবায়েত, পুরোহিত ও হিন্দু ধর্ম যাজকদের হত্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব হত্যায় যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাহলে কি শিবির আইএস হয়ে গেল? প্রশ্ন রাখেন হানিফ।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপি ইসরাইলী গুপ্তচর মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধূরী ও তারেক রহমান মেন্দি সাফাদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই চক্রান্ত করছেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ প্রশ্ন তুলে বলেন, আইএস এর পেছনে কারা? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ হত্যার পর আইএস এর পক্ষে দায় স্বীকার করে সাইট ইন্টিলিজেন্স। গুলশানে হলি আর্টিজানে নৃশংস, নিষ্ঠুর ও বর্বর হামলার পর আইএস দায় স্বীকার করলো। ঝিনাইদহে পুরোহিত ও সেবায়েত হত্যার পরও দায় স্বীকার করা হলো। এখন প্রশ্ন এই সাইট ইন্টিলিজেন্স চালায় কে। তিনি বলেন, একজন ইহুদি নারী যিনি ইসলাম ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেই রিটা কাটস আইএস এর হয়ে দায় স্বীকর করেন। [ads1]
তিনি বলেন, রিটার বাবা ও মা ইহুদি। তারা বসবাস করতেন ইরাকে। রিটার বয়স যখন ৬ বছর তখন তার বাবা ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ধরা পড়েন এবং রিটার বাবার মৃত্যুদণ্ড হয়। এ ঘটনার পর ইরাক ছেড়ে তারা চলে যান ইসরায়েলে। ইসরায়েলে বড় হয়ে মোসাদে চাকরি নেয় রিটা। এরপর ইসলাম বিশ্বকে ধ্বংস করতে রিটাকে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই রিটাই হচ্ছে মূল কারিগর। ইহুদি নাসারা হচ্ছে মুসলমানদের শত্রু। আজ ৪০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইহুদীরা অচ্যাচার করছে। তারা আমাদের বন্ধু হতে পারে না।
হানিফ বলেন, ইসরাইলের মাথায় এসেছে মুসলমানদের ধ্বংস করলে ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে কেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এজন্য তারা ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশর ধ্বংস করেছে। সিরিয়া ও ইরাকের ওপর ইহুদীদের ক্ষোভ ছিল হামাসকে সহায়তা করার জন্য। এ জন্য তারা আগে এই দুই রাষ্ট্র ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ইরাকের ৩ লাখ সৈন্যকে বেকার বানিয়ে তাদেরকে আইএসে ভিড়িয়েছে। ইহুদীরা যতই চক্রান্ত করুক না কেন পৃথিবী থেকে তারা ইসলামকে ধ্বংস করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে পবিত্র ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষা করার। [ads2]