ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের নল নির্ভর সরকার এখন পতনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। জনগণ এখন সরকার পতনের ক্ষণ গণনা শুরু করেছে। পুলিশ বাহিনীকে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্যে পরিণত করে সরকার নিজেকে আপাত নিরাপদ মনে করলেও যেকোনো মুহূর্তে বন্দুকের নল ঘুরে যেতে পারে। রাষ্ট্রশক্তির চূড়ান্ত নৈরাজ্যের বিপরীতে জাগ্রত গণশক্তির বিজয় আসন্ন।’
বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের পক্ষে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে অতিশয় দম্ভ সহকারে বলেছেন- জনগণ বিএনপির সাথে নেই এবং ২০ দলের ৭ দফা ব্যক্তিস্বার্থের দাবি। জনগণ যদি আওয়ামী লীগের সাথে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে ভয় পান কেন? জনগণকে ভয় পান কেন? নির্বাচন দিন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কাদের সাথে আছে। ৭ দফা দাবির প্রত্যেকটি গণতন্ত্রের জন্য, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের জন্য। নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতার জন্য, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের জন্য এবং প্রিয় মাতৃভুমিকে সমৃদ্ধ ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে পরিণত করার গণদাবীর প্রতিফলন মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না বলে প্রায়শই ঘোষণা দিয়ে থাকেন। তাহলে এতো গণহত্যা চালিয়ে লুণ্ঠনকৃত মসনদ রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন? জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে, দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ও নাগরিক সমাজকে অবজ্ঞা করে এবং সারা বিশ্বকে অস্বীকার করে ফ্যাসিবাদী একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। এদেশের জনগণ তা কখনোই হতে দেবে না।’
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আহ্বান জানাচ্ছি- গণআন্দোলনে নির্মম পতনের হাত থেকে যদি বাঁচতে চান, জনরোষের কবল থেকে যদি রক্ষা পেতে চান, তাহলে অবৈধ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার প্রবল উন্মাদনা পরিত্যাগ করে দ্রুত পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি পরিত্যাগ করে জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বিলম্বে হলেও গণমাধ্যমে সরকারি নগ্ন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ প্রকাশকে আমরা স্বাগত জানাই। সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমকে আমরা সরকারি অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জাতীয় জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে শরীক হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’