পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। তার এই সিদ্ধান্তে অনলাইনে চলছে আলোচনার ঝড়।
নানা কারনে আওয়ামী লীগে রনি নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন বেশ কয়েকবছর ধরে। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনও করেননি। সেই রনির হঠাৎ নির্বাচনী রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা তাই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রনি। এমপি হওয়ার পর থেকেই তিনি ছিলেন ব্যাপকভাবে আলোচিত। টকশো গুলোতে ক্ষুরধার যুক্তি এবং সুন্দর বাচনভঙ্গিতে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করে খুব দ্রুতই সবার নজর কাড়েন। এছাড়া তার আকর্ষণীয় লেখনীর কলামের জন্যও তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে তার বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে বিশেষভাবে আলাদা করে তোলে। একইসাথে জনগণের কাছেও তার একটি স্বচ্ছ ইমেজ তৈরি হয়। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র নির্বাচনে তাকে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে রাখতেই হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত শহরের ব্যাপারে তার জ্ঞানও তাকে এগিয়ে রাখতে পারে। এ ব্যাপারে রনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসএ বলেন, ‘ঢাকাকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাস্তব জ্ঞান আমি অর্জন করেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, সুইডেনের স্টকহোম এবং ডেন মার্কের কোপেনহেগেন মহা নগরীর ওপর গবেষনার সুযোগের কারণে।’
এই অনেকগুলো কারনে আওয়ামী লীগের মধ্যে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আওয়ামী লিগ যেখানে সাঈদ খোকনের মত একজন স্বল্প পরিচিত ব্যক্তিকে শুধুমাত্র পিতার খ্যাতির জন্য মনোনয়ন দিয়েছে, সেখানে রনির মত একজন প্রাজ্ঞ, শিক্ষিত রাজনীতিবিদের অংশগ্রহনের ঘোষণা দেওয়াতে একটু বেকায়দায় পড়েছে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ। বলা যায় ঢাকা দক্ষিণে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে আওয়ামী লীগের মেয়র নির্বাচিত করার স্বপ্নে রনি আবির্ভূত হতে পারেন দুঃস্বপ্ন হিসেবে।