রাজনৈতিক সহিংসতায় গত বছর নিহত দেড় শতাধিক

0

Capture-47বাংলাদেশে একটি শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন বলছে, গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় দেড়শ’র বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ছয় হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র আজ প্রকাশিত তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, এসব ঘটনায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ছিল, কিন্তু একটি ঘটনাও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।

সংগঠনটি বলেছে, ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের দিকেই বেশি নজর থাকায় মামলা হলেও তা এগোয় না। তবে সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত বছরের প্রথম তিন মাস বাংলাদেশে ছিল রাজনৈতিকভাবে সহিংস পরিবেশ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট লাগাতার অবরোধ হরতাল কর্মসূচি নিয়েছিল।

সে সময় সারাদেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং পেট্রোলবোমা হামলায় বহু ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল অভিমুখে ছিল অগ্নিদগ্ধ মানুষের স্রোত।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলেছে, গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫১ জন নিহত এবং ছয় হাজারের মতো মানুষ যে আহত হয়েছে। এর বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রথম তিন মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায়।

কেন্দ্রটির নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, বছরের পরের অংশে দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ বিভিন্ন কারণে সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম তিন মাসের রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনাগুলোকে নিয়ে দু’শতাধিক মামলা হয়েছে। আর সারা বছরে মামলা হয়েছে চারশ’র মতো।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, এ ধরণের মামলার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে হাজার হাজার অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে অভিযুক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

সুলতানা কামাল বলেছেন, ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার এবং বিরোধী – দু’পক্ষ থেকেই অনেক রাজনীতি হয়েছে।

কিন্তু একটি মামলাও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।

পুলিশের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, গত বছরের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে মামলাগুলোর ৭০টির মতো মামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে।অন্যগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়ে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সরকার এসব মামলা নিয়ে কোন রাজনীতি করছে না।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “কিছু মামলায় চার্জশিট হয়ে গেছে। অন্যগুলোর তদন্ত চলছে। এগুলো দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তবে এসব তদন্ত রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে সঠিকভাবে হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More