এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী আকবর হোসেনসহ আওয়ামী লীগের আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আকবর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ওই কমিটি ভেঙে দেয়। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ১৬ সদস্যের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে রাতেই আওয়ামী লীগের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক অংশ বুধবার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আনন্দ মিছিল ডাকে। একই সময় বিরোধীরা বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে জানায়। এতে পুলিশের পরামর্শে সন্ধ্যার পর আনন্দ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ সোলায়মানের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
কিন্তু সন্ধ্যার পর আয়োজিত আনন্দ মিছিলে সোলায়মানের অনুসারী চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় ইটপাটকেল ছুঁড়লে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের কর্মসূচি ছিল। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকজন আটক আছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
jugantor