ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির দাবি করেছে বিগত দুই বছরে সংগঠনটির ৮ নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, নিখোঁজকৃত নেতাকর্মীদের পৃথক পৃথক স্থান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বশীল র্যাব, ডিবি ও থানা পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
কয়েকজনের গুমের বিষয়ে অনেকবার সংবাদ সম্মেলন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ফলাফল পায়নি নিখোঁজদের স্বজনরা বলে দাবি করেছেন শিবিরের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল নেতা।
শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ‘ছাত্রশিবির ইসলামের সঠিক আদর্শ পথহারা ছাত্রদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে একটি আদর্শ ইসলামী ছাত্রসংগঠন হিসেবে আপামর জনতার হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্রজনতার মাঝে গ্রহণযোগ্যতা দেখে বাতিল শক্তি ভীত হয়ে শিবিরের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী সরকারও সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নিঃশেষ করে দিতে চায়। এজন্যই সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গুম করা হচ্ছে। কিন্তু ইতোমধ্যেই ছাত্রশিবিরের ধৈর্য্য এবং কৌশলের কাছে তাদের সব অপকৌশল পরাজিত হয়েছে।’
শিবিরের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল জামাল উদ্দীন বলেন, ‘গত ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি সংগঠনটির ৮ নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে হচ্ছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ালী উল্লা, আল মুকাদ্দাস, ঢাকা পশ্চিম মহানগর কমিটির জাকির হোসেন, নুরুল আমিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুস সালাম, তাজাম্মুল আলী, আজিজুর রহমান, রাজশাহী মহানগর কমিটির আনোয়ারুল ইসলাম মাসুম। এর মধ্যে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ মুহিদুল ইসলামের লাশ মিলেছে চলতি মাসের ৪ তারিখ।’