[ads1]বিশিষ্ট সমাজ চিন্তক ও দার্শনিক অধ্যপক এবনে গোলাম সামাদ লিখেছেন, হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য খুবই চিন্তিত ও পরিকল্পিত। তিনি মার্কিন প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বামপন্থীদেরকে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরানোর চিন্তা থেকেই ইনুর বিরুদ্ধে হঠাৎ করে ইতিহাস চর্চা শুরু করেছেন।
একইভাবে আরেক বামপন্থী নেতা ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে বক্তব্য আসতে পারে আওয়ামী লীগ নেতাদের। কারণ মেননও একসময় শেখ মুজিবুর রহমানকে শত্রু হিসেবে দেখতেন।
এবনে গোলাম সামাদ দৈনিক নয়া দিগন্তে তার কলামে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগে শুরু থেকেই ভারত এবং মার্কিন লবি ছিল। ভারত লবির প্রভাবে সৃষ্টি হয় ১৪ দলের জোট। মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন। এরা দু’জনেই হজ করতে যান। প্রমাণ করতে চান, এরা আর আগের মতো মার্কসবাদী নন। হয়ে উঠেছেন খাঁটি মুসলমান। ধর্মে তাদের আস্থা আছে অগাধ। কিন্তু মনে হয় এখন আওয়মী লীগে বাড়ছে মার্কিন লবির প্রভাব। বর্তমানে মার্কিন লবি চাচ্ছে এদের প্রভাব থেকে আওয়ামী লীগকে মুক্ত করতে। সৈয়দ আশরাফ যথেষ্ট ভেবেচিন্তে হাসানুল হক ইনুর বিপক্ষে তার বক্তব্য রেখেছেন। হয়তো আগামীতে তিনি মেনন সম্পর্কেও কিছু মন্তব্য করতে পারেন। কেননা এক কালের ছাত্রনেতা মেনন বলেছিলেন, শেখ মুজিব হচ্ছেন সিআইএয়ের লোক। আর ছয় দফা হচ্ছে সিআইএয়ের তৈরি।”[ads2]