khaledaঢাকা: আর কিছুক্ষণ পর সংবাদমাধ্যমের সামনে আসছেন গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় অবরূদ্ধ থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
দীর্ঘ ৫২ দিন পর শুক্রবার (১৩ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরাসরি হাজির হচ্ছেন তিনি। বিকেল ৪টায় এই সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ও টানা হরতাল দিয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাখার পর খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে জনমনে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন তার ‘অকার্যকর’ হরতাল-অবরোধ তুলে নিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবেন এমনটিই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আপাতত হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করার কোনো পরিকল্পনা খালেদা জিয়ার নেই।
বরং রাজধানীতে হরতাল-অবরোধ সাময়িকভাবে শিথিল করে বড় ধরনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
আবার জোটের কোনো কোনো নেতা বলছেন, দেশি-বিদেশি চাপের মুখে এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে টানা অবরোধ কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করে সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মানতে আলটিমেটামও দিতে পারেন খালেদা জিয়া।
কেউ কেউ বলছেন, বিশ্ব এজতেমা, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু, লাখো শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে যে নেত্রী হরতাল-অবরোধ তোলেন নি, তিনি হুট করে কর্মসূচি প্রত্যাহার বা শিথিল করবেন-এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মূলত, নিকট আত্মীয় ও দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দল ও নিজের বক্তব্য তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনে আসছেন খালেদা জিয়া।
অসমর্থিত আরেকটি সূত্রের দাবি ৬৭ দিন টানা অবরোধ ও হরতালের মধ্যে জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক হওয়ার প্রেক্ষাপটে জোটের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের উজ্জীবিত করতে, পরামর্শ দিতে এবং মনোবল বাড়াতে ৫২ দিন পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোটের নেতা খালেদা জিয়া।